ভেতর থেকে বাহিরমুখী প্রক্রিয়া
এমন কোনো শ্রেষ্ঠত্ব পৃথিবীতে নেই যা সঠিক জীবনযাপন থেকে আলাদা করা যায়। ডেভিড স্টার জর্ডান
উদ্যোক্তা, শিক্ষক এবং পারিবারিক জীবনযাপন করছেন এমন লোকদের সঙ্গে আনি প্রায় পঁচিশ বছর ধরে কথা বলেছি। তাঁদের অনেকে সামাজিক ও পেশাগত জীবনে সাফল্য লাভ করেছেন। কিন্তু তাঁদের মনোজগতে রয়েছে গভীর অতৃপ্তি। বাহ্যিক সাফল্য নিয়ে তাঁরা তাঁদের অভ্যন্তরীণ অতৃপ্তির সঙ্গে লড়াই করছেন। তাঁদের ধারণা, মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তাঁদের ব্যর্থতা রয়েছে। যে ধরনের সমস্যা নিয়ে তাঁরা আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন সে ধরনের সমস্যা প্রায় সকলেরই পরিচিত। এখানে এর কয়েকটি দৃষ্টান্ত দেওয়া হলো। তাঁরা বলেছেন, আমার জীবনে অবিশ্বাস্য পেশাগত সাফল্য এসেছে। আমার লক্ষ্য সুস্পষ্ট। কিন্তু এই সাফল্যের বিনিময়ে আমি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন হারিয়েছি।
আমার স্ত্রী ও সন্তানেরা আমার কাছে অপরিচিত হয়ে উঠেছে। নিজেকে চিনি কি-না এ বিষয়েও আমি সন্দিহান। আমার কাছে কোন জিনিসটা মূল্যবান তা কি আমি বুঝতে পারি? যা পেয়েছি তা আমার প্রয়োজন ছিল কি না-এ প্রশ্ন নিজেকে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করে। গত এক বছরে আমি পাঁচ বার খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করেছি। আমি ওজন কমাতে চাই। এর জন্য কী কী করতে হবে তাও আমার জানা আছে। ওজন কমাতে পারব এ বিশ্বাস আমার ছিল। কিন্তু আসলে পারিনি। কয়েক সপ্তাহ পরেই সব ভেন্তে গেছে।
আমার সমস্যা হলো, আমি নিজের কাছে যে প্রতিজ্ঞা করি তা ধরে রাখতে পারি না। ব্যবস্থাপনার সাফল্যবিষয়ক অনেকগুলো কোর্সে আমি প্রশিক্ষণ নিয়েছি। কর্মচারীদের কাছ থেকে আমি অনেক কিছু আশা করি। তাদের কাছে বন্ধুর মতো হয়ে উঠতে আপ্রাণ চেষ্টা করি। তাদেরকে কাজ শেখাতে চাই। কিন্তু আমার প্রতি তাদের সামান্যতম আনুগত্য আছে বলে মনে হয় না।
আমার ধারণা, আমি যদি একদিন অসুস্থ হয়ে বাসায় পড়ে থাকি তবে তারা সেদিন কোনো কাজ না করে গল্প করে কাটিয়ে দিবে। আমার প্রশ্ন, আমি তাদেরকে দায়িত্বশীল করে গড়ে তুলতে পারি না কেন? শুধু কি তাই? আমি এমন একজন স্বাবলম্বী ও দায়িত্বশীল লোকও দেখি না যাকে নতুনভাবে নিয়োগ দিতে পারি। এর কারণ কী?
Reviews
There are no reviews yet.